মালয়েশিয়া থেকে ট্রাভেল পাশ বা ট্রাভেল পারমিট বিস্তারিত।
ট্রাভেল পারমিট এবং স্পেশাল পাশ সম্পূর্ণ আলাদা। স্পেশাল পাস দেয় মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন। ট্রাভেল পারমিট (টিপি) দেয় বাংলাদেশ হাইকমিশন। ট্রাভেল পারমিট সম্পর্কে তথ্য নিম্নে দেওয়া হলোঃ
ট্রাভেল পারমিটঃ
এটি মূলত পাসপোর্টের বিকল্প হিসেবে সাময়িক ব্যবস্থা। এটির মেয়াদ ৯০ দিন। বিদেশ ভ্রমণকারীকে বা অবস্থানকারীকে শুধু দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য জরুরী হিসেবে দেওয়া হয়। ট্রাভেল পারমিট দেওয়ার আগে পাসপোর্টের মতোই সব তথ্য যাচাই করে দেওয়ার বিধান রয়েছে। প্রবাসে এটি দেওয়ার একমাত্র কর্তৃপক্ষ বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন।
ক) ট্রাভেল পারমিট পাওয়ার শর্তঃ যাদের বাংলাদেশের পাসপোর্ট আছে কিন্তু মেয়াদ শেষ হয়েছে, হারিয়ে গেছে বা নষ্ট হয়েছে তাদের জন্য সহজ। আবেদনের সাথে সেই পুরানো বা হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া পাসপোর্টের তথ্য বা ফটোকপি দিতে হবে। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই পুলিশ রিপোর্ট করে আবেদনের সাথে দিতে হবে, অর্থাৎ এটাই প্রমাণ যে পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে। তাহলে একদিনেই ট্রাভেল পারমিট (টিপি) পাবেন। আর যাদের কখনই পাসপোর্ট ছিলো না তাদের সময় লাগবে। কারণ তাদের নাগরিকত্ব বাংলাদেশ থেকে যাচাই করে নিতে হয়। এজন্য সময় লাগে। নাগরিকত্ব নিশ্চিত না হয়ে টিপি দেওয়া আইনত নিষেধ।
খ) ট্রাভেল পারমিট পাওয়ার শর্তঃ যাদের বাংলাদেশের পাসপোর্ট আছে কিন্তু মেয়াদ শেষ হয়েছে, হারিয়ে গেছে বা নষ্ট হয়েছে তাদের জন্য সহজ। আবেদনের সাথে সেই পুরানো বা হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া পাসপোর্টের তথ্য বা ফটোকপি দিতে হবে। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই পুলিশ রিপোর্ট করে আবেদনের সাথে দিতে হবে, অর্থাৎ এটাই প্রমাণ যে পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে। তাহলে একদিনেই ট্রাভেল পারমিট (টিপি) পাবেন। আর যাদের কখনই পাসপোর্ট ছিলো না তাদের সময় লাগবে। কারণ তাদের নাগরিকত্ব বাংলাদেশ থেকে যাচাই করে নিতে হয়। এজন্য সময় লাগে। নাগরিকত্ব নিশ্চিত না হয়ে টিপি দেওয়া আইনত নিষেধ।
🔴 ভুল বা মিথ্যা তথ্য বা কাগজ জমা দেওয়ার কারণে ট্রাভেল পারমিট (টিপি) পাবেন না।
গ) নিয়মঃ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরমের সাথে ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রংগিন ছবি, পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে), ভিসার ফটোকপি (যদি থাকে), আই কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে), মাইইজি/ ইমান/ বিএম এর কাগজ অর্থাৎ যেকোনো একটি প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে। ( ভিসা ও আই কার্ডের এবং ইমান/মাই জি/বিএম কাগজে পাসপোর্ট নম্বর লেখা থাকে যা দেখে নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়া যায়)। যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের নিজ উপজেলার ইউএনও বা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে সাথে দিতে হবে। এটি যার পাসপোর্ট নাই তার নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার উপায়। দ্রুত করার জন্য প্রত্যাশীর পরিবার থেকে ইউএনও অফিসে আবেদন করতে হবে। তাহলে ইউএনও যাচাই করে নাগরিকত্ব তথ্য হাইকমিশনে ইমেইলে ss.lab.kl@gmail.com প্রেরণ করবে। ফলে হাইকমিশন টিপি দিতে পারবে। মনে রাখবেন নাগরিকত্ব নিশ্চিত না হয়ে ট্রাভেল পারমিট (টিপি) দেওয়া যাবে না।
ঘ) ফিঃ Maybank মালয়েশিয়ার যে কোন শাখায়, বাংলাদেশ হাই কমিশন একাউন্ট নং 564427102268 এ তে ৪৪ রিংগিত (RM 44) ব্যাংক ড্রাফট করে (হলুদ রঙ এর) স্লিপটি নিতে হবে। এই হলুদ স্লিপ আবেদনের সাথে দিতে হবে।
বিঃ দ্রঃ ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার এবং নগদ অর্থ গ্রহণ করা হয় না।
অর্থাৎ আবেদনের সাথে দিতে হবেঃ
- ৩ কপি রঙিন ছবি,
- পাসপোর্ট বা ভিসার ফটোকপি,
- ব্যাংক ড্রাফট এর জমার হলুদ ব্যাংক স্লিপ।
- পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে পুলিশ রিপোর্ট।
- যাদের পাসপোর্ট ছিল না তাদের নাগরিকত্বের সমর্থনে ইউএনও বা জেলা প্রশাসকের পত্র।
ঙ) আবেদন করার বর্তমান ঠিকানাঃ
পাসপোর্ট সার্ভিস কেন্দ্র, ১৬৬ জালান বেসার,
আমপাং (আমপাং এলআরটির পাশে),
কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া।
(166 Jalan Besar Ampang, Kuala Lumpur, Malaysia)
জমা দেওয়ার সময়ঃ সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।
বিতরণঃ বিকাল ৪ - ৫ টা।
📣 নিজে উপস্থিত হয়ে টিপির আবেদন জমা দিতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে।
⛔ পাসপোর্টের মেয়াদ থাকলে এবং কাছে থাকলে টিপি লাগবে না।
👉 ট্রাভেল পারমিট (টিপি) সম্পর্কিত তথ্যের জন্য ফোন করুনঃ
বাংলাদেশ হাই কমিশন (মালয়েশিয়া)
+60102497657; +60124313150;
+60122941617; +60122903252.
তথ্য সংগ্রহঃ বাংলাদেশ হাই কমিশন, ফেসবুক পেইজ।
ধন্যবাদ।
Thanks for your content. Do you know what's document needs for apply the passport? I found the blog. Have a look and let me tell is it true: Passport korte ki ki lage
ReplyDelete