Skip to main content

Bangladeshi Passport Renew System.

বাংলাদেশী পাসপোর্ট রিনিউ পদ্ধতি।



আমরা যারা দেশের বাহিরে অর্থাৎ প্রবাসে থাকি অথবা দেশের বাহিরে ভ্রমণ করে থাকি আমাদের কাছে পাসপোর্টটি অতি মূল্যবান বস্তু। আমরা সবাই জানি আমাদের পাসপোর্ট এর একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে, যা বর্তমানে বাংলাদেশে ৫বছর। খুব শিগ্রই হয়ত আমরা ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট পাবো। কিন্তু বর্তমানে আমাদেরকে ৫বছর পর পর পাসপোর্ট রিনিউ করতে হয়। আমাদের অনেকরই এই পাসপোর্ট রিনিউ এর পদ্ধতি জানা না থাকার কারণে পরতে হয় অনেক ঝামেলায়। কিন্তু পদ্ধতি জানা থাকলে খুব সহজে এই কাজটি সম্পাদন করতে পারবেন। আপনি দেশ অথবা দেশের বাহিরে যেখান থেকেই পাসপোর্ট রিনিউ করেন না কেন, আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের নির্দিষ্ট ব্যাংক এর ব্যাংক একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ (ফি) জমা দিতে হবে। আমি নিচে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের নির্ধারিত কিছু দেশের ব্যাংকের নাম অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ফি দিয়ে দিলাম।

নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ (ফি) জমা করার পর আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি সাথে আপনাকে ব্যাংক অর্থ (ফি) জমার রশিদ, পুরানো পাসপোর্ট এর ফটোকপি, পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি কপি (থানায় সাধারণ ডাইরি এর ফটোকপি), জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, দেশের বাহিরে হলে চলতি ভিসার ফটোকপি বা বৈধতা প্রমানের যে কোন কাগজ, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (সকল দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়) সাথে দিতে হবে

নমুনা ফরমঃ

https://drive.google.com/open?id=1HA_bwTQBe1GBdDqCAO_UYZxwiZPwpUHw

পূরণকৃত ফরম ও সকল প্রকার ডকুমেন্ট সহ আপনার নিকটতম বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার পর, জমা গ্রহনকারী অফিসার আপনার সকল তথ্য যাচাই বাচাই এর পর আপনাকে প্রমান স্বরূপ একটি কাগজ (রশিদ) দিবে।
নমুনা রশিদঃ 
এরপর নির্দিষ্ট সময় শেষে উক্ত রশিদটি সঙ্গে নিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে আসতে হবে।







 যারা বাংলাদেশ থেকে রিনিউ করবেন তাহারা যদি জরুরি ভিত্তিতে (৭ দিন) নিতে চান সেই ক্ষেত্রে ফি হচ্ছে ১৫% ভ্যাট সহ ৬৯০০/= টাকা, আর সাধারন (২১ দিন) এ নিতে চান সেই ক্ষেত্রে ফি হচ্ছে ১৫% ভ্যাট সহ ৩৪৫০/= টাকা। মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রতি বছরের জন্য ১৫% ভ্যাট সহ ৩৪৫/= অতিরিক্ত হারে দিতে হবে। 

বাংলাদেশের ভিতরে সোনালী ব্যাংক সহ মোট ৬টি ব্যাংক এ টাকা জমা দিতে পারবেন। ব্যাংক গুলো হচ্ছে ১। সোনালী ব্যাংক, ২। ওয়ান ব্যাংক, ৩। ট্রাস্ট ব্যাংক, ৪। ব্যাংক এশিয়া, ৫। প্রিমিয়ার ব্যাংক, ৬। ঢাকা ব্যাংক।
বিঃদ্রঃ এ ব্যাংক গুলোতে গিয়ে বলেই ওরা আপনাকে অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়ে দিবে।

Comments

Popular posts from this blog

শুভ নববর্ষ, ঘর সাজান আলপনার রঙে।

নববর্ষে ঘর সাজিয়ে তুলুন আলপনার রঙে আলপনা ঃ ০১ আলপনা ঃ ০২ আলপনা ঃ ০৩  আলপনা ঃ ০৪  আলপনা ঃ ০৫  আলপনা ঃ ০৬  আলপনা ঃ ০৭  আলপনা ঃ ০৮  আলপনা ঃ ০৯ আলপনা ঃ ১০ কেমন হলো কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন কিন্তু, আর ভাল লাগলে লাইক, শেয়ার দিতে ভুলবেন না কিন্তু। ছবি সংগ্রহঃ অনলাইন থেকে। Click Here For Our Facebook Page

বাংলা কবিতা আবৃত্তি || কবিতা-মেঘনার ঢল || কবি-হুমায়ন কবির

বাংলা কবিতা আবৃত্তি || কবিতা-মেঘনার ঢল || কবি-হুমায়ন কবির কবিতাঃ মেঘনার ঢল কবিঃ হুমায়ুন কবির আবৃত্তিঃ রিমন সাহা শোন্ মা আমিনা, রেখে দে রে কাজ ত্বরা করে মাঠে চল, এল মেঘনায় জোয়ারের বেলা এখনি নামিবে ঢল। নদীর কিনার ঘন ঘাসে ভরা মাঠ থেকে গরু নিয়ে আয় ত্বরা করিস না দেরি--আসিয়া পড়িবে সহসা অথই জল মাঠ থেকে গরু নিয়ে আয় ত্বরা মেঘনায় নামে ঢল। এখনো যে মেয়ে আসে নাই ফিরে--দুপুর যে বয়ে যায়। ভরা জোয়ারের মেঘনার জল কূলে কূলে উছলায়। নদীর কিনার জলে একাকার, যেদিকে তাকাই অথই পাথার, দেখতো গোহালে গরুগুলি রেখে গিয়েছে কি ও পাড়ায় ? এখনো ফিরিয়া আসে নাই সে কি ? দুপুর যে বয়ে যায়। ভরবেলা গেলো, ভাটা পড়ে আসে, আঁধার জমিছে আসি, এখনো তবুও এলো না ফিরিয়া আমিনা সর্বনাশী। দেখ্ দেখ্ দূরে মাঝ-দরিয়ায় কাল চুল যেন ঐ দেখা যায়-- কাহার শাড়ির আঁচল-আভাস সহসা উঠিছে ভাসি ? আমিনারে মোর নিল কি টানিয়া মেঘনা সর্বনাশী ? আবৃত্তিটি দেখতে নিচের ভিডিও টিতে ক্লিক করুনঃ